Tuesday, April 22, 2014

শিক্ষা আপডেট

খুঁজছেন হতে পারে : এসএসসি ফলাফল 2014 , এসএসসি ফলাফল 2014 বিডি , এসএসসি ফলাফল 2014 বাংলাদেশ , দাখিল ফলে 2014 , দাখিল ফলে 2014 বিডি , মাদ্রাসা বোর্ডের ফলাফল 2014 , educationboardresults.gov.bd , শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি www.educationboardresults.gov.bd ফলে , ঢাকা বোর্ডের এসএসসি ফলাফল 2014 .এই বছরের সবচেয়ে বড় পাবলিক পরীক্ষায় এসএসসি ( মাধ্যমিক বিদ্যালয় সার্টিফিকেট ) বাংলাদেশে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে . এখন পরীক্ষার নেভিগেশন অংশগ্রহণ ছাত্র যারা খুব জোরে তাদের দিন পার হয় . তারা এখানে - সেখানে এসএসসি পরীক্ষায় 2014 বাংলাদেশ ফলাফল খুঁজছি হয় . তারা ফলাফল প্রকাশিত এবং যেখানে তারা ফলাফল পেতে হবে যখন জানতে প্রায় প্রতিটি Googling হয় . আপনি তাদের একজন হন, তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় আছে. এখানে আমরা আপনাকে এসএসসি ফলাফল 2014 প্রকাশনার সবচেয়ে সম্ভাব্য দিন বা সময়ের জানাতে .বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড পরীক্ষার শেষ হওয়ার পর 60 দিনের মধ্যে পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হিসেবে এসএসসি ফলাফল 2014 বিডি জুন 2014 প্রথম সপ্তাহের মধ্যে প্রকাশিত হবে . আমরা ফলাফল প্রকাশের আগের তারিখগুলি দেখুন , তাহলে আমরা যে সময়ের অনুমান করতে পারেন .এখন প্রশ্ন হল কিভাবে আপনি আপনার এসএসসি ফলাফল 2014 পাবেন ? আপনি যদি আমাদের সাইট আপনার এসএসসি ফলাফল 2014 বিডি পাবেন দুর্মূল্য চিন্তা করবেন না , অথবা অন্য যে আপনি আপনার স্কুল ক্যাম্পাস বা পাঠানোর এসএমএস আপনার ফলাফল পেতে বা www.educationboardresults.gov.bd মধ্যে প্রবেশ করতে পারেন .এসএসসি ফলাফল 2014 মোবাইল এসএমএস দ্বারাএখন আমি আপনাকে এসএসসি ফলাফল পাবার জন্য একটি এসএমএস পাঠাতে জানাতে. নির্দেশনা নর্দন অনুসরণ করুন ...

    
আপনার মোবাইল টেক্সট অপশন এ যান
    
2014 <space> রোল নং <space> আপনার বোর্ডের নামের এসএসসি <space> 1 ম 3 আধুনিক টাইপ করুন
    
এখন 16222 এটা পাঠান
    
উদাহরণ এসএমএস : এসএসসি DHA 7638464 2014 2014 এটা পাঠানwww.educationboardresults.gov.bdএসএসসি ফলাফল 2014 বাংলাদেশ বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত হবে . বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.educationboardresults.gov.bd এই ফলাফল প্রকাশ করা হবে.

 এখানে ডান আপনার এসএসসি ফলাফল 2014 জন্য নির্ধারিত সংকেতটি নিচে লিঙ্কটি পান .....http://www.educationboardresults.gov.bd/regular/result.php




এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে ১৭ অথবা বা ১৮ মে   


মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল ১৭ বা ১৮ মে প্রকাশ করা হবে।

এই দুই তারিখের যেকোনো একদিন এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের অনুমতি চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়

Monday, April 21, 2014

এইমাত্র ঘটে যাওয়া সব খবর জানতে ক্লিক করু


দিন রাতের খবর

মাত্র কয়েক সেকেন্ডে তৈরি করুন এ্কটি ইমেইল খুব সহজে


আমাদের অনেক সময় খুব দ্রুত ইমেইল তৈরির প্রয়োজন হয়। আপনি সাধারনত আপনার আসল email টি দিতে চাইবেন না। তাই এখন এমন একটি ইমেইল প্রভিডার এর কথা জানব। এটি আপনাকে দিবে একটি temporary email . এখানে inbox রয়েছে। আপনি আপনার পছন্দ মত email  এর নাম দিতে পারবেন।  এটি --
http://www.guerrillamail.com 

Thursday, April 17, 2014

বাংলাদেশের সব ব্যাংক এর ওয়েব সাইট

01.http://www.bangladesh-bank.org   (বাংলাদেশ ব্যাংক)




সোনালী ব্যাংক

http://www.sonalibank.com.bd/


বাংলাদেশ ব্যাংক অধ্যাদেশ ১৯৭২ অনুযায়ী ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, প্রিমিয়ার ব্যাংক এবং ব্যাংক অব বাহাওয়ালপুরকে অধিগ্রহণ করে সোনালী ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৭ সালের জুন তারিখে এটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানী হিসাবে নিবন্ধিত হয়



জানতা ব্যাংক


http://www.janatabank-bd.com/ 



ডাচ্ বাংলা ব্যাংক

 http://www.dutchbanglabank.com/

Monday, April 14, 2014


বাংলা সংবাদ - রেডিও
                                          
ইরান রেডিও
                     
চায়না রেডিও
                   
জাপান রেডিও
 
জার্মান রেডিও

বাংলাদেশ বেতার

ভযেস অফ আমেরিকা

রেডিও রাশিয়া

abc রেডিও - ঢাকা

bbc রেডিও

বাংলা সংবাদ - টেলিভিশন
                          ৭১ tv                 
                
      
সময় tv                                        ABP আনন্দ                     
                         

একুশে টেলিভিসন
                      
bangla vision                       

boishakhi tv                           

channel 24                             

desh.tv  
                                
g tv
                                     
islamic tv                              

mytv
                                     
rtv                                          

২৪ ঘন্টা
                                 
independent .tv                       

ntv

Sunday, April 13, 2014

কুয়েত থেকে ১৪ লাখ বিদেশীকে ফেরত পাঠানোর প্রস্তাব

রতি বছর কুয়েত থেকে লাখ ৮০ হাজার বিদেশীকে স্ব স্ব দেশে ফেরত পাঠানোর প্রস্তাব এনেছেন কুয়েতের এক এমপি। তিনি বলেছেন, দেশে জনসংখ্যায় যে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হয়েছে তা ঠিক করতে এই হারে পাঁচ বছর বিদেশীদের বহিষ্কার করতে হবে। যদি তা- করা হয় তাহলে পাঁচ বছরে কুয়েত থেকে বের করে দেয়া হতে পারে ১৪ লাখ বিদেশীকে। জানুয়ারি মাসের সরকারি হিসাব অনুসারে কুয়েতের মোট জনসংখ্যা ৩৯ লাখ ৬৫ হাজার ২২। এর মাত্র এক-তৃতীয়াংশ কুয়েতের নাগরিক। শতকরা ৩৭ দশমিক ৮০ ভাগ এশিয়ান। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় রয়েছেন বাংলাদেশীরা। গতকাল খবর দিয়েছে অনলাইন গালফ নিউজ। এতে আরও বলা হয়, জনসংখ্যায় সমতা আনার জন্য বিদেশীদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর ওই প্রস্তাব দিয়েছেন এমপি . খলিল আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, আমাদের দেশে প্রায় ২৫ লাখ বিদেশী রয়েছেন। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে তাদের সংখ্যা নামিয়ে আনতে হবে ১১ লাখে। জন্য প্রতি বছর কুয়েত থেকে লাখ ৮০ হাজার বিদেশীকে তাদের দেশে ফেরত পাঠাতে হবে। তার মতে এত বিপুল সংখ্যক বিদেশী কুয়েতে থাকায় অবকাঠামোর ওপর এবং সরকারি সব প্রতিষ্ঠানের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। বিদেশীদের বের করে দিলে কুয়েতের স্থানীয় নারী পুরুষরা সরকারি বেসরকারি খাতে অধিক হারে কাজের সুযোগ পাবেন। কুয়েতে দিন দিন বাড়ছে বেকারের সংখ্যা। চাকরি সন্ধানকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তবে এসব সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি বিদেশীদের বের করে দেয়ার কথা বললেও বিশেষ করে কোন দেশের নাম উল্লেখ করেন নি। মাত্র এক মাসেরও কম সময় আগে তার মতো একই দাবি জানিয়েছিলেন আরেক এমপি আবদুল্লাহ এল তামিমি। তিনি তার প্রস্তাবে বলেছিলেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশে বিদেশী নাগরিকের সংখ্যা ১৩ লাখের কমে নিয়ে আসতে হবে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, কুয়েতে বিদেশী নাগরিকদের মধ্যে শতকরা ২৭ দশমিক ভাগ আরব। তাদের সংখ্যা ১১ লাখ হাজার ৬০৫। এর মধ্যে নারী লাখ ৯১ হাজার ৫৭৮ জন। পুরুষ লাখ ১৫ হাজার ২৭ জন। আর রয়েছে আফ্রিকার ৭৬ হাজার ৬৯৮ জন নাগরিক

Friday, April 11, 2014

চোখের সমস্যা ও সমাধান

                                      ***চোখে ঠিকমতো দেখতে না পাওয়া***                


           স্তু থেকে সমান্তরাল আলোক রশ্মি চোখের কর্ণিয়া বা কালো রাজার মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় বেঁকে যায় এবং চোখের লেন্সের ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় দ্বিতীয় বার বেঁকে চোখের রেটিনায় বস্তুর প্রতিবিম্ব সৃষ্টি করে বিধায় আমরা ওই বস্তুটি দেখতে পাই। আলোক রশ্মির এই পথ যদি স্বাভাবিক থাকে, তাহলে যে কোন গঠনগত পরিবর্তন বা কোন রোগ যদি না থাকে সে ক্ষেত্রে চশমা দিয়ে সে দৃষ্টির উন্নয়ন সম্ভব। তখন সেটাকে রিফ্রাকটিভ ইয়ব বা পাওয়ার জনিত দৃষ্টি স্বল্পতা বলা হয়। এটি সাধারণত চার ধরনের হয় মায়োপিয়া (ক্ষীণদৃষ্টি), হাইপারোপিয়া (দূরদৃষ্টি), প্রেসবায়োপিয়া বা চালশে এবং অ্যাসটিগমেটিজম।
মায়োপিয়াঃ এ ধরনের রোগীরা কাছে মোটামুটি ভাল দেখতে পারলেও দূরে ঝাপসা দেখে, তাই এদের ঋীণদৃষ্টি বলা হয়। অবতল লেন্স বা মাইনাস পাওয়ারের চশমা পড়লে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। যাদের চোখে ছয় ডায়াপটারের বেশী মাইনাস পাওয়ারের লেন্স লাগে এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে চোখের পাওয়ার ও বাড়তে থাকে তখন তাকে প্যাথলজিকাল মায়োপিয়া বলা হয়। সেক্ষেত্রে চোখের দেয়াল বা স্ক্লেরা পাতলা হয়ে যায় এবং রেটিনাতে ছিদ্র সৃষ্টি হয়ে পরবর্তীতে রেটিনা আলাদা হয়ে গিয়ে অপূরণীয় ক্ষতি হতে পারে। মায়োপিয়াতে চোখের আকার বড় হওয়া কারণে চোখের দেয়াল পাতলা হয়ে যায়। সেজন্য সামান্য আঘাতেই চোখে অনেক মারত্বক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। সুতরাং মায়োপিয়া রোগীদের সবসময় চোখের আঘাত থেকে সাবধান থাকতে হবে এবং নিয়মিতভাবে ডাক্তারের পরামর্শে চোখের পাওয়ার পরীক্ষা এবং রেটিনার পরীক্ষা করিয়ে নেয়া ভাল।
হাইপারোপিয়াঃ এ ধরনের রোগীরা দূরে এবং কাছের উভয় দিকেই ঝাপসা দেখে এবং অফিসিয়াল কাজ করার সময় রোগীর চোখের উপর চাপ পড়ার কারণে মাথা ব্যাথার অনুভূতি হয়। স্বাভাবিক চোখের চেয়ে একটু ছোট থাকে, যদিও ওটা বোঝা যায়না। উত্তল বা প্লাস লেন্সের চশমা ব্যবহার করে এ সমস্যার সমাধান করা যায়।
অ্যাসটিগ ম্যাটিসমঃ এটি এক ধরনের দৃষ্টি স্বল্পতা, যাতে রুগীর কর্ণিয়ার সে কোন একদিকে (লম্বদিকে, প্রস্থে অথবা কোণাকোনি) পাওয়ার পরিবর্তন হয় বলে দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়। এর কারণে দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা, একটি জিনিসকে দুইটি দেখা এবং মাথা ব্যাথা হতে পারে। সিলিন্ডার লেন্স ব্যবহারে এ সমস্যার সমাধান হয়।
প্রেসবায়োপিয়াঃ এতে বয়সজনিত চোখের গঠনগত পরিবর্তনের কারণে চোখের লেন্সের ইলাসটিসিটি বা স্থিতিস্থাপকতা হ্রাস পায়, ফলে লেন্সের প্রয়োজনে (বিশেষ করে কাছের জিনিস দেখার জন্য) আকার পরিবর্তন করার ক্ষমতা কমে যায় এবং কাছের জিনিস ঝাপসা দেখায়। চল্লিশ বছরের পর এ সমস্যা দেখা যায় বলে একে চালসে রোগ বলা হয়। শুধু কাছের জিনিস দেখার জন্য (বিশেষ করে পড়াশুনার জন্য) উত্তল বা প্লাস লেন্স ব্যবহার করলে এ সমস্যার সমাধান হয়। বয়স বড়ার সাথে সাথে চশমার পাওয়ার ও পরিবর্তন হয়।
চিকিৎসা
০ ডাক্তারের পরামর্শে রোগের ধরণ অনুযায়ী পাওয়ার চেক করে চশমা ব্যবহার করা যেতে পারে।
০ চশমা যারা পড়তে চায়না, তারা কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার বিধি একটু জটিল বিধায় অনেকের পক্ষে ব্যবহার করা হয়ে ওঠেনা।
০ বর্তমানে লেজসার সার্জারীর মাধ্যমে এসব সমস্যার সমাধান সম্ভব। এক্সাইমার লেজসার ব্যবহার করে চোখের পাওয়ার পরিবর্তন করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায়। একে ল্যাসিক রিক্সাকটিভ সার্জারী বলা হয়। এর মাধ্যমে ১২ ডায়াপটার পর্যন্ত মায়োপিয়া, ৫ ডায়াপটার পর্যন্ত অ্যাসটিকমেটিসম এবং ৪ ডায়াপটার পর্যন্ত হাইপারোপিয়ার চিকিৎসা সম্ভব। সবছেয়ে বড় সুবিধা হল, ল্যাসিক করার পর সাধারণত চশমা অথবা কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়েনা।
মনে রাখতে হবে
০ বাচ্চাদের দৃষ্টি স্বল্পতার তড়িৎ চিকিৎসা প্রয়োজন, না হয় অলস চোখের কারণে দৃষ্টিশক্তি স্থায়ীভাবে কমে যেতে পারে।
০ কাছ থেকে সে সব শিশু টেলিভিশন দেখে অথবা টেলিভিশন দেখার সময় চোখ টেরা হয়ে যায় এবং চোখ থেকে পানি পড়ে, তাদের তাড়াতাড়ি চোখ পরীক্ষা করিয়ে নেয়া ভাল।
০ মাথা ব্যাথা চোখের পাওয়ার পরিবর্তনের লক্ষণ, সুতরাং মাথা ব্যাথা হলে একবার চোখ পরীক্ষা করিয়ে নেয়া ভাল।
০ ডায়েবেটিস নিয়ন্ত্রন না থাকলে চশমা ব্যবহার করে খুব ভাল ফল পাওয়া যায়না, কারণ এতে ঘন ঘন চোখের পাওয়ার পরিবর্তন হয়।
০ যারা নতুন নতুন চশমা ব্যবহার শুরু করবেন তাদের চশমাতে অভ্যস্ত হতে ১০-১৫ দিন সময় লেগে যায়, এ সময়ে চশমা ব্যবহার অস্বস্থি লাগলেও এটি ব্যবহার বন্ধ করা ঠিক নয়।
০ যারা কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করতে চান, তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শে ব্যবহার বিধি মেনে ব্যবহার করবেন।
০ সব রুগীরা সবসময় ল্যাসিক করা সম্ভব হয়না, ডাক্তারের পরামর্শে ল্যাসিক সেন্টারে কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার পর চোখ ল্যাসিক যোগ্য হলেই একমাত্র ল্যাসিক সার্জারী করা হয়।


         চোখের সমস্যা – চোখ খুব চুলকায়

 

আপনার সমস্যাটা চোখের পাতার রোগ হতে পারে, যেমন ব্লেফারাইটিস। চোখের পাতায় পাপড়ির গোড়ায় খুশকিজাতীয় ছোট ছোট সাদা জিনিস জমে। এর জন্য চোখ খুবই চুলকায়। এর সঙ্গে মাথায়ও খুশকি থাকতে পারে। নখ দিয়ে চুলকানোর ফলে চোখের পাতার পাপড়ির গোড়ার চামড়া উঠে যায়, পাতা ফুলে যায়, লাল হয় এবং ব্যথাও হয়। পরবর্তী সময়ে পাপড়ির গোড়ায় ঘাও হতে পারে। তবে এর সঙ্গে জ্বরের ও দাঁত তোলার কোনো সম্পর্ক নেই।
কোনো সময়ই নখ দিয়ে চোখের পাতা চুলকানো যাবে না। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে খুব ভালো করে চোখের পাতার গোড়া পরিষ্কার করতে হবে।
এ ছাড়া অ্যালার্জিজনিত কারণেও চোখ চুলকাতে পারে। চোখ চুলকানোর জন্য অ্যান্টিহিস্টামিন ট্যাবলেট খেতে পারেন। অবশ্যই চক্ষুবিশেষজ্ঞ দেখিয়ে পরামর্শ মেনে চলা উচিত।

   সকালে খালি পেটে পানি পান কি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী?


সকালে ঘুম থেকে উঠে অনেকেই খালি পেটে পানি পান করে থাকেন। কিন্তু এই পানি পান করা কি আসলেই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো? ভালো হলে কেন ভালো? কীভাবে উপকার পাওয়া যায় সকালে পানি পান করলে? আর কতটুকুই বা পানি পান করতে হবে?
চিকিৎসকদের মতে সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পানি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। প্রতিদিন সকালে অন্তত দুই থেকে চার গ্লাস পানি খাওয়া উচিত। প্রথম দিকে এটা অনেক বেশি মনে হলেও কিছুদিন এভাবে পানি খেলে বিষয়টি সহজেই আয়ত্ত হয়ে যাবে এবং উপকারিতাও টের পাওয়া যায়। তবে সকালে পানি খাওয়ার পর অল্প কিছুক্ষণ অন্য কিছু না খাওয়াই ভাল। এ উপায়ের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই এবং এটি পরিপাক ক্রিয়ার জন্য ভীষণ উপকারী।
কিন্তু কীভাবে উপকারে আসে এবং এর সুফল কীভাবে পাওয়া যায়?
অল্প কিছু বিষয় মেনে চললেই সকালে খালি পেটে পানি খেয়ে সুস্থ থাকার পথে একধাপ এগিয়ে থাকা যায়। সকালে খালি পেটে পানি কেবল পাকস্থলী পরিষ্কারই নয়, আমাদের বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে।
প্রথমত, এ অভ্যাস মলাশয়কে ঠিকঠাক ও সচল রাখতে সাহায্য করে। পরিপাক ক্রিয়া থেকে সঠিক ভাবে নানা পুষ্টি উপাদান গ্রহণে শরীরকে সাহায্য করে। ভাল হজমশক্তি আপনা থেকেই অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানে উপকারে আসে। ফলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
দ্বিতীয়ত, পর্যাপ্ত পানি ত্বক উজ্জ্বল ও সুন্দর রাখে। রক্ত থেকে টক্সিন ও বিভিন্ন বিষাক্ত উপাদান দূর করতে সাহায্য করে। শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এটি। এছাড়াও পানি নতুন রক্তকোষ এবং মাংস পেশী তৈরির প্রক্রিয়াতেও সাহায্য করে।

               অসুস্থতায় প্রয়োজন বেশি ঘুম


অসুস্থ হলে অধিক ঘুম কার্যকরী প্রমাণ হতে পারে। একটি গবেষণাতেই অসুস্থতার সময় বেশি পরিমাণে ঘুমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ এই লম্বা ঘুম আপনার প্রতিরক্ষা প্রণালী বাড়াতে পারে এবং সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে।
পেলসিল্বানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরাই এমন তথ্য খুঁজে বের করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পেরেলম্যান স্কুল অফ মেডিসিনের অভিজ্ঞ লেখক জুলি উইলিয়াম জানিয়েছেন, অসুস্থবোধ হলে এমনই ঘুম পায়। নতুন এই গবেষণায় ঘুমের প্রভাবের নতুন প্রমাণ পাওয়া গেছে।
গবেষকেরা মাছিদের উপর একটি পরীক্ষা চালান। এতে দেখা গেছে, যে মাছি বেশি ঘুমোয় তার শরীরে ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা অনেক বেশি থাকে।
‘স্লিপ’ নামের একটি গবেষণাপত্রে প্রকাশিত অধ্যয়নে বলা হয়েছে, অসুস্থতায় বেশি ঘুম সংক্রমণের প্রতিরোধ বাড়িয়ে দিয়ে প্রতিরক্ষা প্রতিক্রিয়া বাড়াতে সাহায্য করে। তাই অসুস্থ হলে একটু বেশি ঘুমাতেই পারেন।

        জানেন কি ‘সস্তা’ তরমুজের অভাবনীয় যত গুন!


বলা হয়ে থাকে, তরমুজ ওজন কমাতে সাহায্য করে, নিম্ন রক্তচাপ থাকলে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সহায়ক তরমুজ। তবে, নতুন খবর হলো, তরমুজ পুরুষদের যৌনজীবনকে তরতাজা করে তুলতে পারে!
রসাল এই ফলের স্বাদের কথা সবাই জানেন। খেতেও পছন্দ করেন অনেকেই। কিন্তু আলাদাভাবে এর পুষ্টিগুণের কথা আলোচনা হয় না খুব একটা।
সম্প্রতি ইতালীয় গবেষকদের এক গবেষণায় বলা হয়েছে,কৃত্রিম পন্থায় যৌনশক্তি বাড়াতে ভায়াগ্রা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার অন্ত নেই। এই নীল ট্যাবলেটটির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়েও অনেক বিতর্ক রয়েছে। তবে বিজ্ঞানীরা শেষ পর্যন্ত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন প্রাকৃতিক ভায়াগ্রার সন্ধান দিলেন। এই নিরীহ প্রাকৃতিক জিনিসটি আর কিছু নয়, আমাদের অতি পরিচিত তরমুজ। বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, ভায়াগ্রার মতোই কার্যকর হচ্ছে তরমুজ।
টেক্সাস এ অ্যান্ড এম ইউনিভার্সিটির গবেষক বিনু পাতিল মিডিয়াকে জানান, নতুন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, যারা যৌনশক্তির দিক থেকে অক্ষম বা দুর্বল, তাদের সক্ষমতার জন্য তরমুজই প্রাকৃতিক প্রতিষেধক। অর্থাৎ তাদেরকে এখন থেকে আর ভায়াগ্রার পেছনে টাকা না ফেলে তরমুজ বন্দনায় মেতে উঠলেই চলবে।
বিনু পাতিল তার সহকর্মীদের নিয়ে গবেষণার পর বিস্ময়করভাবে দেখতে পান যে, একটি তরমুজে সিট্রোলিন নামের অ্যামাইনো অ্যাসিডের পরিমাণ এতো বেশি যে, যা আগে বিজ্ঞানীরা ধারণাও করতে পারেননি। কারণ বিজ্ঞানীরা মনে করতেন, সিট্রোলিন সাধারণত ফলের অখাদ্য অংশেই বেশি থাকে।
বিনু পাতিল বলেন, ‘‘তরমুজে সিট্রোলিন আছে, এটা আমাদের জানা কথা। কিন্তু এটা জানতাম না যে, সিট্রোলিনের পরিমাণ তাতে এতো বেশি থাকতে পারে।’’
গবেষকরা ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, “মানবদেহ সিট্রোলিনকে আরজিনিনিন নামের যৌগ পদার্থে রূপান্তরিত করে। আরজিনিনিন হচ্ছে ভিন্ন মাত্রার অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা নাইট্রিক অ্যাসিডের অগ্রদূত হিসেবে কাজ করে। আবার নাইট্রিক অ্যাসিড দেহের রক্তবাহী শিরা বা ধমনীর প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর রক্তবাহী শিরা বা ধমনীর প্রসারণের কারণেই মানুষের বিশেষ অঙ্গটি সক্রিয় হয়। আর ভায়াগ্রাও দেহের নাইট্রিক অ্যাসিডকে সক্রিয় করার মাধ্যমে কৃত্রিম পন্থায় দেহে জৈবিক উত্তেজনা সৃষ্টি করে।
গবেষক বিনু পাতিল আশা করছেন, তরমুজের ভায়াগ্রা-গুণটি নিয়ে বিশ্বের গবেষকরা এগিয়ে আসবেন।
তবে তার এই গবেষণার ফলকে সবাই এক বাক্যে এখনো মেনে নেননি। ‘দি জার্নাল অব সেক্সুয়াল মেডিসিন’-এর প্রধান সম্পাদক ইরউয়িন গোল্ডস্টেইন বলেন, ‘‘বিশেষ অঙ্গের উত্তেজনার জন্য অবশ্যই নাইট্রিক অ্যাসিড দরকার। কিন্তু বেশি করে তরমুজ খেলেই তা প্রাকৃতিকভাবেই একই কাজটি করে দেবে, এটা এখনো প্রমাণিত নয়।’’
অবশ্য বিনু পাতিল এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি, জৈবিক তাড়না সৃষ্টি করতে একজন অক্ষম লোককে ঠিক কত পরিমাণ তরমুজ গিলতে হবে।
                

     যেসব ভুলে প্রতিদিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে আপনার স্মৃতিশক্তি!



ইদানিং অনেককেই স্মৃতিশক্তির দুর্বলতায় ভুগতে দেখা যায়। হঠাৎ করেই কিছু একটা মনে করতে চাইলেও হয়তো মনে পড়ছে না। চাবি, মোবাইল, ঘড়ি কোথায় রেখেছেন মনে করতে না পাড়া, কারো নাম ভুলে যাওয়া, একটি কাজ করেছেন কি করেননি সেটা চট করে মাথায় না আসা ইত্যাদি। এই ধরণের সমস্যাকে আমরা কেউই তেমন গুরুত্ব দেই না। মনে করি সাধারণ কিছু কিংবা বেশি চিন্তা করি বলে অথবা হঠাৎ করে মাথায় নাই আসতে পারে বলে উড়িয়ে দিয়ে থাকি।
কিন্তু আসলেই কি এইসব সাধারণ কিছু? মোটেই নয়। এই সামান্য ভুলে যাওয়া থেকে স্মৃতিবিভ্রমের মতো অনেক মারাত্মক কিছুও হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই আমাদের এই নিয়ে অবহেলা না করাই ভালো। কিন্তু আমরা কি জানি, আমাদের এই স্মৃতিশক্তির দুর্বলতার জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী? আমাদের নানা বাজে অভ্যাস এবং কাজের কারণে প্রতিনিয়ত দুর্বল হচ্ছে স্মৃতিশক্তি।
বিষণ্ণতায় থাকা
নানা কারনেই অনেককে বিষণ্ণতায় পড়তে দেখা যায়। বিষণ্ণতা আপাত দৃষ্টিতে তেমন ভয়ানক কিছু মনে না হলেও এর রয়েছে সুদূরপ্রসারী প্রতিক্রিয়া। বিষণ্ণতায় ভোগা মানুষের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা অনেক কম থাকে। এতে করে ধীরে ধীরে কমে যায় স্মৃতিশক্তি। বিষণ্ণতার কারণে অনেকের স্মৃতিশক্তি একেকবারে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও দেখা যায়। তাই বিষণ্ণ থাকা বন্ধ করুন। এবং প্রয়োজনে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।
মানসিক দ্বন্দ্বে থাকা
অনেকে সময় বিভিন্ন কারণে আমরা প্রায় প্রত্যেকেই মানসিক দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভুগে থাকি। কোনো একটি কাজ করা উচিৎ হবে কি হবে না, কে কী ভাববে ইত্যাদি ধরণের কথা ভেবে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে অনেক মানসিক দ্বন্দ্বে পড়ি। কিন্তু এই কাজটি আমাদের মস্তিস্কের জন্য কতোটা ক্ষতিকর তা আমরা অনেকেই জানি না। মানসিক দ্বন্দ্বে থাকলে আমাদের মস্তিস্কের নিউরন ক্ষয়প্রাপ্ত হতে থাকে। এতে করে মস্তিস্ক স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারায়। আর এভাবেই দুর্বল হতে থাকে আমাদের স্মৃতিশক্তি। তাই মানসিক দ্বন্দ্ব থেকে যতোটা দূরে থাকা সম্ভব ততটাই ভালো।
আবেগ প্রকাশ করতে না পারা
অনেকেই আছেন যারা বেশ চাপা স্বভাবের হয়ে থাকেন। সহজে নিজের আবেগ এবং মনে ভাব প্রকাশ করতে পারেন না। মনের ভেতর কী হচ্ছে তা কাউকে বলেও বোঝাতে পারেন না। তাদের স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। আমাদের মস্তিস্কের ডান অংশ আবেগ এবং বাম অংশ লজিক নিয়ে কাজ করে। দুটো অংশ সমান কাজ করলে আমরা স্বাভাবিক থাকি। কিন্তু একটি অংশের কর্মক্ষমতা কম হলে আমাদের মস্তিষ্কে অনেক চাপ পরে। এতে করে মস্তিস্ক স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারায়। আর এভাবেই দুর্বল হতে থাকে আমাদের স্মৃতিশক্তি।
ড্রাগস, ধূমপান এবং মদ্যপান
ড্রাগস, ধূমপান এবং মদ্যপান এই তিনটিই স্মৃতিশক্তি দুর্বল করে দেয়ার জন্য সমান ভাবে দায়ী। নিকোটিন ও অ্যালকোহল আমাদের মস্তিস্কের সাধারণ কর্মক্ষমতা এবং স্বাভাবিক চিন্তা করার শক্তি নষ্ট করে দেয়। যারা ড্রাগস নেন তাদের সাধারণ যুক্তি এবং চিন্তা করার ক্ষমতা অনেক দ্রুত হ্রাস পেতে থাকে। যারা নিয়মিত ধূমপান ও মদ্যপান করেন তাদের স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে যায়।
থায়ামিনের অভাব
আমাদের দেহে থায়ামিনের অভাব হলে আমরা স্মৃতিশক্তি দুর্বলতা রোগে পরে থাকি। থায়ামিন এবং ভিটামিন-বি আমাদের নার্ভ সিস্টেমের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। থায়ামিনের অভাবে নিউরোলজিক্যাল ডিজঅর্ডারে ভুগতে দেখা যায় অনেককে। তাই স্মৃতিশক্তির দুর্বলতাকে অবহেলা না করে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিৎ।
ঘুম না হওয়া
অনেকেই কাজের ব্যস্ততায় অনেক কম ঘুমান যা পরবর্তীতে অনিদ্রা রোগে পরিনত হয়। এছাড়াও ঘুম কম হওয়া এবং না হওয়ার ওপর একটি মারাত্মক প্রভাব হলো স্মৃতিশক্তি নষ্ট হওয়া। আমরা যখন ঘুমাই তখন আমাদের মস্তিষ্কে নতুন নিউরনের সৃষ্টি হয় যা আমাদের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে সঠিক রাখে। কিন্তু ঘুম কম বা না হলে মস্তিস্ক তা করতে পারে না ফলে আমাদের স্মৃতিশক্তি দিনের পর দিন দুর্বল হতে থাকে। যা পরবর্তীতে শর্ট টার্ম মেমোরি লসের মতো মারাত্মক আকার ধারন করতে পারে। তাই প্রতিদিন একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিৎ।

              গরমে ঘাম থেকে মুক্তি পেতে


চারদিকে ভ্যাপসা ও তীব্র গরম। বাইরে বের হলে মনে হয় সূর্য়টার সঙ্গে এমন বন্ধুত্ব হয়েছে সে মাথার ওপরই চলে এসেছে, যেন একটু হলেই ছুঁয়ে দেখা যাবে। এই গরমে প্রচুর ঘাম হচ্ছে। অতিরিক্ত ঘামের যন্ত্রণায় ভুগছি সবাই। হাত, পা, মুখ, শরীরের বিভিন্ন ভাঁজে বেশি ঘাম হয়। ঘাম থেকে অনেক সময় গন্ধ হয়ে অস্বস্তি তৈরি হয়, আর এজন্য আমরা বিভিন্ন সময় খুব সমস্যায় পড়ি।
এই অস্বস্তি থেকে প্রাকৃতিক উপায়েই আমরা মুক্তি পেতে পারি। আসুন জেনে নিই :
  • গরমে বেশি বেশি পানি পান করুন
  • বারবার পানি দিয়ে মুখ, হাত, পা ধুয়ে নিন
  • শারীরিক দুর্বলতা থেকেও প্রচুর ঘাম হতে পারে
  • পুষ্টিকর খাবার, শাকসবজি, ফল বেশি পরিমাণে খান
  • ঘামে আমাদের শরীর থেকে প্রচুর পানি বেরিয়ে যায়, এসময় খাওয়ার স্যালাইন, ফলের জুস খান
  • স্বাস্থ্যকর ঠাণ্ডা খাবার খান
  • বাইরের ভাজা খাবার এবং রিচ ফুড থেকে দূরে থাকুন কেননা, গরমে এসব খাবারে অসুস্থ হতে পারেন
  • ভালো ব্র্যান্ডের সুগন্ধি ব্যবহার করুন
  • গোসলের পানিতে কয়েক ফোটা গোলাপজল দিয়ে দিন
  • সুতি আরামদায়ক হালকা রং-এর পোশাক পরুন
  • দিনে দুইবার গোসল করুন
  • খুব প্রয়োজন ছাড়া কড়া রোদে বাইরে যাবেন না
  • বাইরে গেলে অবশ্যই সঙ্গে ছাতা রাখুন, রোদে তো কাজে দেবেই, ছাতা থাকলে বৃষ্টি হলেও ভিজবেন না
    দুই লিটার পানিতে ৩ টি চায়ের ব্যাগ মিশিয়ে, সে পানিতে ১০-১৫ মিনিট হাত-পা ভিজিয়ে রাখুন
  • হাতে-পায়ে কোনো ধরনের পাউডার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন । এটি ঘাম দূর করার পরিবর্তে আরো বাড়িয়ে দেবে
  • ধূমপানসহ সব ধরণের মাদক গ্রহণে বিরত থাকুন কারণ এগুলো অতিরিক্ত ঘাম উৎপন্ন করে।

         



            গরমে যে খাবারগুলো এড়িয়ে চলা উচিৎ

গরমে খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে একটু সতর্ক থাকা উচিৎ। কারন এসময় এমনিতেই প্রকৃতির তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে। তাই একটু তরল বা ঠান্ডা জাতীয় খাবার খাওয়াই ভাল। আমাদের দেশে এমন অনেক খাবারই আছে যা খেলে গরম আরও বেড়ে যায়। এর ফলে শরীরের তাপমাত্রাও বেড়ে যায়। এতে অসুস্থ্য হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। তাই এসব খাবার একটু এড়িয়ে চলাই ভাল।
গরুর মাংস
গরুর মাংস আমাদের দেহে অনেক বেশি তাপমাত্রা উৎপাদন করে। এছাড়া কলেস্টোরল বৃদ্ধি, উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা তো রয়েছেই। গরুর মাংস বেশি ঘাম তৈরি করে। এতে করে দেহে পানিশূন্যতা তৈরি হয়। তখন শরীর অসুস্থ হয়ে পরে।
অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার
মশলাযুক্ত খাবার আমাদের দেহের তাপমাত্রা অনেক বাড়িয়ে তোলে। এতে করে আমাদের হজমের সমস্যাও দেখা দেয়। তাই এই গরমে আমাদের উচিৎ যতোটা সম্ভব কম মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া।
ফাস্ট ফুড
ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবারে অনেক বেশি তেল থাকে। গরমের সময় তেল খেলে আরও গরম লাগে। আবার অনেক ফাস্ট ফুড রয়েছে যেগুলো আমাদের দেহের পানি শুষে নেয়। ফলে এই গরমের মধ্যে আমরা পানিশূন্য হয়ে পড়ি।
অতিরিক্ত চা এবং কফি
অনেকেরই অভ্যাস আছে সকালে বা বিকালে এক কাপ চা বা কফি খাওয়া। কিন্তু এর বাইরে চা বা কফি পান করা গরমকালে শরীরের জন্য একেবারেই ভালো নয়। চা বা কফির ক্যাফেইন দেহকে ডিহাইড্রেট করে ফেলে। এতেও আমরা অতিরিক্ত গরমে অসুস্থবোধ করি।

    

          জীবন বাঁচাতে জেনে নিন স্ট্রোকের ৫টি লক্ষণ

আমাদের মস্তিষ্ক আমাদের চিন্তা, আবেগ, ভাষা, কর্মক্ষমতা, শ্বাস প্রশ্বাস, পরিপাক সব কিছুর নিয়ন্ত্রক। আর এ সব কিছুর জন্যে মস্তিষ্কের প্রয়োজন পড়ে প্রচুর অক্সিজেন। আমাদের নিশ্বাসের গৃহীত অক্সিজেনের ২০% ই মস্তিষ্কের কাজে ব্যবহৃত হয়। ধমনির মাধ্যমে প্রতিনিয়ত অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত মস্তিষ্কে পৌঁছায় ও একে সচল রাখে।
কিন্তু যদি কোন কারণে রক্তপ্রবাহে বাধা পড়ে, তবে কয়েক মিনিটের মাঝেই মস্তিষ্কের কোষগুলো মারা যেতে থাকে অক্সিজেনের অভাবে। রক্তচাপের কারনের মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণও এর আরেকটি কারণ। স্ট্রোকের কারণে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা লোপ, দীর্ঘ সময়ের পঙ্গুত্ব এমনকি মৃত্যুও ঘটতে পারে।
ইদানিং অনেক মানুষ স্ট্রোকের শিকার হয়ে দীর্ঘস্থায়ী পঙ্গুত্ব বা মৃত্যুবরণ করছেন কেননা এ রোগটির নাম অনেক পরিচিত হলেও এর লক্ষণগুলো সম্পর্কে খুব কম মানুষেরই ধারণা আছে। ফলে দেরী করে ডাক্তার ডাকা, বুঝতে না পারার কারণে রোগী সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন না।
জেনে নিন স্ট্রোকের লক্ষণগুলো-
১। হঠাৎ মুখ বেঁকে যাওয়াঃ
যদি দেখেন আপনার সামনের মানুষটির মুখের একটি অংশ হঠাৎ করে বেঁকে যাচ্ছে বা ঝুলে যাচ্ছে তবে তা স্ট্রোকের অন্যতম একটি লক্ষণ। এক্ষেত্রে তাকে হাসতে বলুন। তিনি যদি সে অবস্থায় হাসতে পারেন তবে বুঝবেন ভয়ের কিছু নেই কিন্তু হাসতে সমস্যা হলে তিনি স্ট্রোকের খুব কাছাকাছি আছেন।
২। এক দিকের হাত-পা অবশ হয়ে যাওয়াঃ
এক্ষেত্রে স্ট্রোকের আগে ব্যক্তির শরীরের একটি দিক অবশ হতে থাকে। যদি আপনার মনে হয় তার একদিনের বাহু ঝুলে যাচ্ছে না নুয়ে যাচ্ছে। তবে দেরী না করে তাকে দু হাত উপরে তুলতে বলুন। স্ট্রোকের কাছাকাছি থাকলে তিনি দু হাত কখনোই একসাথে উপরে তুলতে পারবেন না।
৩। কথা জড়িয়ে যাওয়াঃ
অথা বলতে বলতে আপনার সামনের মানুষটির কি কথা জড়িয়ে যাচ্ছে বা হঠাত করেই অসংলগ্ন, দূর্বোধ্য ভাবে কথা বলছেন, বুঝতে পারছেন কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে তার। দেরী না করে তাকে একটি সহজ সাধারণ কথা কয়েকবার বলতে বলুন। যেমন, “আকাশ অনেক নীল”। তিনি যদি তা না পারেন তবে নিশ্চিত স্ট্রোকের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
৪। হঠাৎ চোখে ঝাপসা দেখাঃ
আপনার সামনে মানুষটি যদি আপনাকে বলেন যে হঠাৎই তিনি এক বা দু চোখে ঝাপসা দেখছেন, তবে এটই স্ট্রোকের আরেকটি লক্ষণ হতে পারে। সেক্ষেত্রে উপরের বাকী তিনটি লক্ষণ মিলিয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন।
৫। কারণ ছাড়াই প্রচন্ড মাথা ব্যাথাঃ
যদি কোন কারণ ছাড়াই প্রচন্ড মাথা ব্যাথায় দাঁড়িয়ে না থাকতে পারেন, এছাড়া হাঁটায় সমস্যা, অপ্রাসঙ্গিক কোন কথা বলা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে বাকী লক্ষণগুলো সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিন ও দেরী না করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
মনে রাখবেন, স্ট্রোকের ক্ষেত্রে প্রতিটি মিনিটই মূল্যবান। যত দ্রুত আপনি চিহ্নিত করতে পারবেন, ততই রোগীর বড় ধরনের কোন শারীরিক ক্ষতি হবার আশঙ্কা কমে আসবে। আপনার একটু সচেতনতায় বেঁচে উঠুক একজন মৃত্যু পথযাত্রী। ভালো থাকুন।



           এই গরমে ত্বকের সমস্যা জন্য কি করবেন !

ই গরমে জনজীবন বলতে গেলে বিপর্যস্ত। গত কয়েকদিনের গরম আগের সকল গরম পরার রেকর্ড ভেঙেছে। এই সময়টাতে ত্বকের জন্য প্রযোজন বাড়তি যত্ন। কারণ ত্বক মানবদেহের এক বৃহৎ অঙ্গ। শরীরের আবরণ হিসেবে কাজ করে বিধায় ঋতু পরিবর্তনের প্রভাব সর্বাগ্রে ত্বকে পরিলক্ষিত হয়। গরমে ত্বকের ওপর পরিবর্তন দুই ভাগে ভাগ করা যেতে পারে।
সূর্যালোকের কারণে : সূর্যালোকের কারণে ত্বকে সোলার ডার্মাটাইটিস বা সানবার্ন, সোলার অ্যাকজিমা, সোলার আর্টিকেরিয়া, জেরোডার্মা পিগমেন্ত- সাম, একনিটিক রেটিকুলয়েড, ত্বকের ক্যান্সার এবং মেছতা বা ক্লোজমা হতে পারে। সূর্যালোকের আলট্রা ভয়োলেট রশ্মি এ জন্য দায়ী।
ঘামের কারণে পরিবর্তন : গরমের সঙ্গে বায়ুমণ্ডলে আদ্রতা বেশি থাকলে ত্বকের সোয়েট গ্লানড বা ঘর্মগ্রন্থি নিঃসরিত ঘাম তৈরি হয়। ঘামের কারণে ঘামাচি দেখা দেয়। এ ছাড়া ঘামে ডার্মাটাইটিস্, ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়াজনিত ত্বকের রোগ বিস্তার লাভ করে। শিশুরা গরমে ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয় যা সামার বয়েল নামে পরিচিত।
চিকিৎসা : গরমে ত্বকের সমস্যা অনেক সময় জটিল আকার ধারণ করতে পারে। কি পরিবর্তন হয়েছে, সেটি নির্ধারণে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করা হয়ে থাকে।

প্রতিরোধের উপায় : সরাসরি সূর্যালোকে যাবেন না, ছাতা, হ্যাট এবং সানগ্লাস ব্যবহার করুন। * দীর্ঘক্ষণ সূর্যালোকে থাকবেন না, সান ব্লকের লসান ক্রিম বা জেল ব্যবহার করুন। * ভারী জামা-কাপড়, টাইটফিট অন্তর্বাস পরিহার করুন। * নাইলন, পলিয়েস্টার ইত্যাদি সিনথেটিক পোশাক পরবেন না, সুতি এবং প্রাকৃতিক বস্ত্র ব্যবহার করুন * একবার ব্যবহার করা পোশাক ও অন্তর্বাস পুনরায় ধোয়ার পর ব্যবহার করুন * ঘাম তৈরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুকিয়ে ফেলুন বা মুছে নিন, প্রয়োজনে গোসল করতে পারেন * প্রচুর পানি পান করুন।