২০১৪ সালে কোরিয়ায় বিদেশী শ্রমিক কোটা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত
দক্ষিণ কোরিয়া সরকার ২০১৪ সালে অভিবাসী শ্রমিকদের ই-৯ কোটায় ভিসার সংখ্যা বিদায়ী বছরের তুলনায় ৩,০০০ টি বাড়িয়ে ৫৩,০০০ এ উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোরিয়ার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় রবিবার এ কথা জানিয়েছে।
সরকারী তথ্যমতে সিংহভাগ বিদেশী শ্রমিক (প্রায় ৪২ হাজার) উৎপাদন খাতে (ম্যানুফেকচারিং) নিয়োগ পাবেন। বাকিরা কাজ করবেন কৃষি ও মৎস্য খামারসমূহে।
এছাড়া চীন ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে আগত নৃতাত্ত্বিক কোরিয়ানদের জন্য এইচ-২ কোটায় ভিসার সংখ্যা ৩ লাখ ৩ হাজারে অপরিবর্তিত থাকছে।
বিদেশী শ্রমিক সংক্রান্ত নীতিনির্ধারণী কমিটির এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে আরও বলা হয় বিদেশী শ্রমিকদের জন্য আবাসন সুবিধা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে শ্রমিক নিয়োগে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। কারখানায় কর্মরত অবস্থায় দুর্ঘটনা এড়াতে জানুয়ারী মাসে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।
বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ বাড়াবে দক্ষিণ কোরিয়া
তিনি বলেন কোরিয়ান বিভিন্ন কারখানায় কর্মরত বাংলাদেশী কর্মীদের সুনামের প্রেক্ষিতে আমরা তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং আগামীতে তা আরও বৃদ্ধি করা হবে।
তিনি বলেন কোরিয়ান বিভিন্ন কারখানায় কর্মরত বাংলাদেশী কর্মীদের সুনামের প্রেক্ষিতে আমরা তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং আগামীতে তা আরও বৃদ্ধি করা হবে।লি জানান ২০০৮ সালের আগস্ট থেকে ২০১৩ পর্যন্ত ৯,৩৬৩ জন বাংলাদেশী কর্মী জিটুজি (গভঃমেন্ট টু গভঃমেন্ট) সিস্টেমের আওতায় কোরিয়ায় কাজের সুযোগ পেয়েছেন। এদের মধ্যে চলতি বছরেই কোরিয়া গিয়েছেন ১,৬০০ জন। বাংলাদেশীরা সেখানে স্থানীয়দের মতোই বেতনভাতা পাচ্ছেন জানিয়ে লি বলেন কাজের সময়টুকুর পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাদেরকে সোশ্যাল ও হেলথ ইনস্যুরেন্স সুবিধাও দেয়া হচ্ছে।
ইপিএস পদ্ধতি সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করে পরিচালক বলেন, “এটি একটি সম্পূর্ণ স্বচ্ছ প্রক্রিয়া কেননা এটি কোরিয়া সরকার সরাসরি দেখভাল করছে। কোন প্রতিষ্ঠান এ প্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে কর্মী নিয়োগ দিতে পারবে না। মধ্যস্থতাকারী সেজে এখানে অবৈধ ফায়দা লাভের কোন সুযোগ নেই।”
ইপিএসের সুবিধা বর্ণনা করতে গিয়ে লি জানান এ পদ্ধতিতে চাকুরিপ্রাপ্ত একজন কর্মী যথাসময়ে ছুটি কাটিয়ে পুনরায় তার আগের কর্মস্থলে যোগ দিতে পারেন নতুন কোন পরীক্ষানিরীক্ষা ছাড়াই। তবে কর্মস্থল পরিবর্তন করতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নতুন করে ভাষা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। ইপিএসের মেয়াদকাল বিষয়ে তিনি বলেন “প্রাথমিকভাবে একজন বিদেশী কোরিয়ায় ৪ বছর ১০ মাস থাকার সুযোগ পান। তারপর তিনি চাইলে আরেক মেয়াদের জন্য তা বাড়িয়ে নিতে পারেন।”
No comments:
Post a Comment